মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর পর রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪২৯ এর অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখে সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাগালাপ ও সংগীতে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান।

যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর পরপরই সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করা হয় রবীন্দ্রসংগীত ‘মন, জাগ’ মঙ্গললোকে’। অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশ ঘিরে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাছায়ানটের বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে ৩৭টি আয়োজন দিয়ে। এর মধ্যে পঞ্চকবির গান, ব্রতচারীদের ‘বাংলা ভূমির প্রেমে আমার প্রাণ হইল পাগল’, লোকগান ‘নাও ছাইড়া দে মাঝি, পাল উড়াইয়া দে’ প্রভৃতি গান রয়েছে। সঙ্গে থাকছে আবৃত্তি-পাঠের মতো বিষয়গুলোও।

ছায়ানটের পাশাপাশি বর্ষবরণে থাকছে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রকমারি কারুপণ্যের সম্ভার নিয়ে বৈশাখী মেলা প্রভৃতি। সাধারণত নববর্ষে পান্তা-ইলিশসহ নানা রকম দেশি খাবারের আয়োজন থাকে। তবে এবার পবিত্র রমজানে দিনের বেলায় এসব খাবারের আয়োজন থাকছে না। আর সব কর্মসূচিও রমজানের মর্যাদা রক্ষা করে পালন করা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন আয়োজকেরা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে এবার বেলা দুইটার মধ্যে পয়লা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। বেলা একটার পর উৎসব এলাকায় কাউকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। আর সকাল সাড়ে ৯টায় টিএসসি থেকে শুরুর পর শোভাযাত্রা কেউ ঢুকতে পারবে না।